শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
১০ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণ

১০ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণ

মতিহার বার্তা ডেস্ক : বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দেশের সম্ভাবনাময় খাত দুগ্ধশিল্প। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে এখন অনেক শিক্ষিত যুব সমাজ এ শিল্পে জড়িত হচ্ছে। এতে দেশের তরল দুধের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে এখন দুধের চাহিদা রয়েছে এক কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ৭০ শতাংশ। বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। গত ১০ বছরে দেশে দুধের উৎপাদন প্রায় চারগুণ বেড়েছে।

দেশে দুগ্ধ উৎপাদনে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডেইরি খামার। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা উল্লেখযোগ্যভাবে না পেলেও নিরবে শিল্পটির বিকাশ ঘটছে। এখন দেশে রেজিস্ট্রার্ড ও আনরেজিস্ট্রার্ড মিলিয়ে দুধের খামার আছে ১২ লাখের মত। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোক জড়িত। সরকারের পক্ষ থেকে দুগ্ধ শিল্পকে এগিয়ে নিতে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এলডিডিপি (লাইভ স্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ঘাটতি আছে তা পূরণ করা সম্ভব।

দেশিয় খামারিদের সঙ্গে এখন যুক্ত হচ্ছে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানিগুলো। এ খাতে গড়ে উঠেছে ৮টি বড় কোম্পানি। আগে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী গতানুগতিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বতর্মানে তা বাণিজ্যিক আকার ধারণ করেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেড (মিল্কভিটা) অনেক আগে থেকে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হলেও সম্প্রতি অনেক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। প্রাণ, ব্র্যাক, আকিজের মত প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে।

এরকম কঠোর ও বহুমুখী প্রক্রিয়ার কারণে প্রান্তিক পর্যায় থেকেই দুধ সংগ্রহের পদ্ধতি থাকে সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রীকৃত। এছাড়া পর্যায়ক্রমিক মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিশ্চয়তা দেয় বিশুদ্ধতার। এ সব কিছুর মূলেই রয়েছেন খামারিরা। তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার কারণেই সম্ভব হয়েছে এরকম স্তরভিত্তিক মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বাস্তবায়ন। তাই সারাদেশে ডেইরি পণ্যের জোগানে ও দেশের দুগ্ধশিল্পের উত্তরণের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে খামারিদের হাত ধরেই। এতে দুধে স্বনির্ভর হচ্ছে দেশ।

মতিহার বার্তা ডট কম – ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply